রাজধানীতে দিনভর কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। লালকুঠি, মিরপুর ১, ঢাকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: শরৎ ঋতুর প্রথম মাস ভাদ্রের শেষ দিন ছিল আজ রোববার। সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা। দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ দেশের প্রায় সর্বত্র। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাগরে সৃষ্টি হওয়া স্থল নিম্নচাপ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সীমানা ছাড়ছে। আর এই ধীরগতির ফলেই বৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। অবশ্য আগামীকাল থেকে বৃষ্টি অনেকটা কমে যেতে পারে। আর মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি একেবারেই কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ বিকেলে বলেন, আজ দেশের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে, ৭৯ মিলিমিটার। যশোরে বৃষ্টি হয়েছে ৭১ মিলিমিটার।
আজ রাজধানীতে বেলা ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। বৃষ্টি খুব বেশি না হলেও রাজধানীর অনেক এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে দিনভর কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও আছে।
তবে বৃষ্টি গতকালের চেয়ে আজ কমে এসেছে। গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসতে পারে। আর মঙ্গলবার থেকে অনেকটাই কমে যাবে।
গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে ছিল উজানের পাহাড়ি ঢল। এ দুইয়ের প্রভাবে ওসব অঞ্চলের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত হয় এলাকাগুলোর অর্ধকোটি মানুষ।
গত সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করে। দেশের অন্তত ২০টি জেলায় বয়ে যায় তাপপ্রবাহ। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কক্সবাজার জেলায়। এতে কক্সবাজার শহর এবং জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়।