এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ হত্যার দুই সপ্তাহেও মামলা হয়নি

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৫ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুই সপ্তাহ পরও এখনো কোনো মামলা হয়নি। টানা ছয় দিন থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ১০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর কথা বলা হলেও এখনো কার্যত সবই বন্ধ আছে।

পুলিশ বলছে, থানার বিধ্বস্ত ভবনে কার্যক্রম শুরু হলেও সচল রাখতে সমস্যা হওয়ায় পাশেই আরেকটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে কার্যক্রম শুরু হলে হত্যা মামলা করা হবে।

৪ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চলাকালে এনায়েতপুর থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাকসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। এর পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় থানার কার্যক্রম।

আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে থানায় দেখা যায়, মূল ফটক টিন ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এনায়েতপুর হাটে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, থানা আক্রমণের জন্য শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী, রুপনাই গাছপাড়া, রূপসী, জালালপুর, চৌহালী উপজেলার আসাননগর, সদিয়া চাঁদপুর, মাইজ গ্রাম, বেতিল, খামার গ্রাম, বেলকুচির চরকাদহ, আটারদাগ, ধুকুরিয়া বেড়া, দৌলতপুর, ক্ষিদ্র গোপরেখি, পাকর তলা ও গোপরেখি আতার মোড় এলাকা থেকে লোকজন এসেছিলেন।

নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে পরিদর্শক হাসিবুল্লা হাসিবকে দায়িত্ব দিয়ে ১০ আগস্ট থেকে বিধ্বস্ত এনায়েতপুর থানা সচল করা হয়। তাঁকে সহায়তার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ১০ সদস্যকে সাময়িকভাবে যুক্ত করা হয়েছে। তবে বিধ্বস্ত ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হওয়ায় এখনো থানার কার্যক্রম বন্ধ।

ওসি হাসিবুল্লা হাসিব বলেন, ‘১০ আগস্ট আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে গিয়ে থানা কার্যক্রম সচল রাখতে চেষ্টা করছি। তবে বিধ্বস্ত থানা কার্যালয়ে এখন কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যে কারণে নতুন একটি ভবন ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিধ্বস্ত ভবনে কার্যক্রম শুরু হলেও সচল রাখতে সমস্যা হওয়ায় পাশেই আরেকটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই থানার কার্যক্রম সচল থাকবে। আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই ভাড়া করা ভবনে থানার কার্যক্রম পুরোদমে সচল হবে। এরপর ওই থানায় হত্যা মামলা করা হবে।