বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বগুড়া: শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ বুধবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম (জুয়েল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা গত সোমবার কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় কলেজে ছাত্ররাজনীতিসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অধ্যক্ষ রেজাউল আলম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে যেকোনো ধরনের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কলেজের ল্যাবরেটরি। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের কোনো শাস্তি হয়নি। সর্বশেষ গত ২ মে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও হোস্টেলের একটি পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। তখন হোস্টেলের আটটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণায় একাধিক শিক্ষার্থী স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একচ্ছত্র তাণ্ডবে এত দিন সাধারণ শিক্ষার্থীরা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।