পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল–মামুন চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল–মামুন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ৩২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দুটি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংগ্রহবিষয়ক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন খান।

একটি মামলায় সাবেক আইজিপি মামুন ও হারুনসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে হারুনসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে।

একটি মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর। ওই মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুন, ডিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, হাফিজ আক্তার ও আসাদুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী, সঞ্জিত কুমার রায়, বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদী হাসান, উপকমিশনার তারিক বিন রশিদ, হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (এসি) গোলাম রুহানী, পল্টন থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন মিয়া এবং পল্টন থানার তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুনের নির্দেশে ডিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদসহ অন্য আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকাতি করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যান। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁরা তাণ্ডব চালান। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ৮ ডিসেম্বর রাত ২টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ষষ্ঠতলায় এ ঘটনা ঘটান। ডাকাতি করা মালামালের মূল্য ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরেক মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে গত ১৬ জুলাই। এই মামলার আসামিরা হলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মুহিত কবির সেরনিয়াবাত ও সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (এসি) এরশাদুর রহমান, পরিদর্শক কবির হোসেন চৌধুরী, উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান, নুরুল ইসলাম ও ফরমান আলী, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) স্বপন মিয়া, রেজাউল হক, এরশাদ আলী, রবিউল ইসলাম ও ইব্রাহীম শেখ এবং কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ও মেহেদী হাসান মাসুদ।

এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই রাত পৌনে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে করে ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসহ বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরে এসব অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে পল্টন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার দিন পুলিশ সদস্যরা বিস্ফোরক মজুত, হেফাজতে রাখা ও বহন করা, বিস্ফোরণ ঘটানো এবং বিএনপির কার্যালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে তছনছ করেছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে করা মামলা দুটির বাদী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, পল্টন থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। এখন অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।