ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ‘গণহত্যা’র অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচারের দাবিতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দলটির নেতারা। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক:  রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ‘অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ‘গণহত্যা’র অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচারের দাবিতে বিএনপির দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দিন ছিল বুধবার। ঢাকায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি হয়। এ ছাড়া ঢাকার অন্যান্য কার্যালয়ের সামনেও নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আজ বৃহস্পতিবারও ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ যুবদল ও ছাত্রদল। বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন বলে জানা গেছে।

১৫ আগস্ট শোক দিবসকে কেন্দ্র করে পতিত আওয়ামী লীগ আবার সংগঠিত হতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিএনপি ‘গণহত্যা’র অভিযোগে বিচারের দাবিতে ১৪ ও ১৫ আগস্ট দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের সব দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের জন্য ১৬ আগস্ট দোয়ার কর্মসূচি দেয়।

নয়াপল্টনের কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা দেখামাত্র মানুষ হত্যা করেছে, সেসব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির ও আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। কর্মসূচিতে বিএনপির এবং দলটির অঙ্গ ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিতি ছিল কম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবারও সারা দেশে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা এবং ঢাকায় ওয়ার্ডগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।