এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নামে আরও একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলাটি করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান। ওই মামলায় খায়রুজ্জামান ছাড়া আরও তিন সাবেক সংসদ সদস্য সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৩১ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। খায়রুজ্জামানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী–২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর ইকবাল, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ, আজিজুল আলম প্রমুখ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই আসামিরা নগরের মালোপাড়ায় নগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে তারা মামলার বাদীসহ দলের অপর নেতা–কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।

এই বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানাকে মামলাটি তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে খায়রুজ্জামানকে আরও দুটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ আগস্ট নগরের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব আনজুম (২৫) হত্যার ঘটনায় নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি এবং ২০ আগস্ট ছাত্রশিবিরের রাজশাহী নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান হত্যার ঘটনায় খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।