রাজধানীর ভাটারা থানায় সামনে পুলিশের অস্ত্র হাতে যুবদল নেতা তাহসিন জামান | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব তাহসিন জামান ওরফে রোমেলকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে যুবদলের দপ্তর সম্পাদক এম এন ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাহসিন জামানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর অপকর্মের কোনো দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। ভাটারা থানার সামনে প্রকাশ্যে একটি রাইফেল হাতে নিয়ে ছবি তোলেন যুবদল নেতা তাহসিন জামান। পরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা সেটি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে ওই যুবদল নেতা আত্মগোপনে আছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুনের ছবি ও অস্ত্র হাতে তাহসিন জামানের ছবি দেখে এটি বোঝা যায় যে তিনি নাশকতায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর এমন কাজে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে মানুষের ধারণা হবে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয়তো এ ধরনের কাজে জড়িত ছিলেন।

ছবির বিষয়ে তাহসিন জামানের ভাষ্য, ৫ আগস্ট বেলা সোয়া একটার দিকে ছাত্রদের সঙ্গে মিছিল করে ভাটারা থানার সামনে পৌঁছানোর পর তিনি দেখতে পান, জনতা থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। যাঁরা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা সড়কের ওপর কিছু অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় পান। পরে ভাটারা থানার বিপরীত দিকে থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অস্ত্রগুলো জমা দেন বলে দাবি তাঁর।

যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, তাহসিন জামানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মুকিত হাসান খান আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’