হার্ডিঞ্জ ব্রিজ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়ার পরও এখনো বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, পাবনার ঈশ্বরদী পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অংশে ১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এই বৃদ্ধিতে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।

ভারতের বিহারের গঙ্গায় পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়া হয় সোমবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র। জানা গেছে, ফারাক্কা ব্যারাজে পানির স্তর বিপৎসীমা (৭২ ফুট) ছাড়িয়েছে। সোমবার সেখানে পানির উচ্চতা ৭৬ ফুট ছিল। তবে ফারাক্কার গেট খোলার জন্য এখনই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বা আদৌ হবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, নিয়ন্ত্রিতভাবে ১০৯টি গেট থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে।

ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা স্থানে শঙ্কা ছড়ায়। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সোমবারই জানায়, এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। সোমবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উজানে গঙ্গা নদীর পানি সমতল ভারতের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে স্থির পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশেও পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার গড়ে দেড় থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে বাংলাদেশে স্থিতিশীলভাবে বিপদমানের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ মুহূর্তে পদ্মা নদী অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট | ছবি: পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৌজন্যে

মঙ্গলবার পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এটা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক। আগামী কয়েক দিনেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা দেখি না।’

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ায় আমাদের এখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। এটা প্রতিবারই করা হয়।’

সব কটি গেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপর চার থেকে পাঁচটি গেট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’