পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের চুক্তি বাতিল হচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালদ্বীপে প্রেষণে নিযুক্ত হাইকমিশনারকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে ওই ছয় রাষ্ট্রদূত ও একজন হাইকমিশনারকে ঢাকায় ফেরার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারই আলোকে চুক্তিতে থাকা ছয় রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হচ্ছে।’

দেশে ফেরার নির্দেশ পাওয়া ছয়জন হলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত কামরুল হাসান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবু জাফর, জাপানে শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, জার্মানিতে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন পেশাদার কূটনীতিক। তাঁরা স্বাভাবিক চাকরির মেয়াদ শেষে চুক্তিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জাপান ও জার্মানিতে নিযুক্ত দুজন ছিলেন সরকারের সাবেক সচিব। আর সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট৶দূত ছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক।

এ ছাড়া প্রেষণে মালদ্বীপে হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত আছেন নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিয়াল অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। তাঁকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত আসতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আপনাকে সদর দপ্তর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। অতএব আপনাদের বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এদিকে আলাদা আলাদা আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত আরিফা রহমান রুমা, কানাডায় হাইকমিশনে নিযুক্ত অপর্ণা রানী পাল ও মিথিলা ফারজানাকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর শেষে দুজন চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ১১ আগস্ট আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন পদে থাকা চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তও আছে। এ জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব নিয়োগ নিয়ে বেশি বিতর্কতা আছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে বাতিল করা হবে। আর পর্যায়ক্রমে সব চুক্তি বাতিল করা হবে।