সমাজ জেগে উঠেছে, জাগ্রত সমাজকে কাজে লাগাতে হবে: হোসেন জিল্লুর রহমান

বগুড়ার বেতগাড়ি এলাকায় ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে বক্তব্য দেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য শুধু  দাবি তুললে হবে না, মাঠপর্যায়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার কথা জানতে হবে। জনগণের দেওয়া সঠিক পরামর্শ সুপারিশ আকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।

রোববার বিকেলে বগুড়ার বেতগাড়ি এলাকায় ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে (আঞ্চলিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র) পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতার হত্যায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে জানিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবেগ ও আক্রোশে মামলা দিলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি থেকে পার পেয়ে যাবেন। আবেগ ও আক্রোশে মামলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় অর্থসহায়তায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অনেক হাসপাতালে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের চিকিৎসায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানতে হবে। দেশগড়ার কাজে প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ভালো কাজ সমাজে দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের সঠিক পরামর্শ ও সুপারিশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে।