মতিহার থানা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক ছাত্রকে (সামনে লাল টি–শার্ট পরা) ছাড়িয়ে আনেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক আরেক শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছেন শিক্ষকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের মতিহার থানা থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিকুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আশিকুর প্রধান ফটক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই খবর জানতে পেরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহকারী প্রক্টর মতিহার থানায় যান। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান থানায় যান। তাঁরা ওই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে আটকের পরই দুজন সহকারী প্রক্টরকে থানায় পাঠানো হয়। পরে তিনিসহ আরও দুজন শিক্ষক সেখানে যান। ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পরে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. মোবারক পারভেজ গতকাল রাত ১০টার দিকে বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে ওই শিক্ষার্থীকে শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের ছাড়াতে রাতভর থানায় অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।