সুড়ঙ্গ করে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা

ঘটনায় আটক করা হয়েছে বিল্লালকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাঙামাটি: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কাশখালী গ্রামে ফাতেমা আক্তার (২৭) নামের এক নারী এবং তাঁর মা আয়েশা খাতুনকে (৬৮) কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফাতেমার স্বামী বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশের দাবি, বিল্লাল হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বিল্লাল হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইরা গ্রামের বাসিন্দা। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে বিল্লাল হোসেন তাঁর স্ত্রী ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে দুই মাস আগে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কাশখালীতে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ফাতেমা। গত ২৯ জুলাই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে কাউখালীতে আসেন বিল্লাল হোসেন। তবে ফাতেমা কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি হননি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ফাতেমা ও বিল্লালের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের পর বিল্লাল কুমিল্লায় ফিরে যান। পরে গতকাল রাতে গোপনে কাশখালীতে আসেন। গভীর রাতে ঘরের পেছনে মাটি খুঁড়ে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করেন। পরে সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করেছেন। খুনের সময় বিল্লাল ও ফাতেমার দুই বছরের শিশু সন্তানটি ঘরেই ছিল।

দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে বিল্লাল পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কাউখালী-রানীরহাট সড়কের বেতছড়ির পাইনবাগান এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব চন্দ্র কর বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বিল্লাল হোসেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডে ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।