পরিদর্শন শেষে বিটিভি ভবনের সামনে সমাবেশ করেন অভিনয়শিল্পীরা। আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) পরিদর্শন করেছেন চলচ্চিত্র, নাটক ও সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-পরিচালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা’ ব্যানারে তাঁরা বিটিভি পরিদর্শন করেন।

এ সময় বিটিভিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিল্পীরা। তাঁরা মনে করেন যে এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। এই আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীসহ অন্য সবার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন শিল্পীরা।

পরিদর্শনে যাওয়া শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অভিনয়শিল্পী সুজাতা আজিম, রিয়াজ আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, আজিজুল হাকিম, নিপুণ, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, হৃদি হক, সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।

বিটিভি ভবন প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অভিনয়শিল্পীদের কয়েকজন বক্তৃতা দেন। এ সময় বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগকারী ব্যক্তিদের ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে নাহিদ ইজাহার বলেন, রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে সব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এক হয়ে লড়তে হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন উল্লেখ করে অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। প্রতিষ্ঠানটির ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত বলে উল্লেখ করেন।

একটি দল দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ করে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, জীবনের যেমন মূল্য আছে, তেমনি রাষ্ট্রীয় সম্পদেরও মূল্য আছে।

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উল্লেখ করে অভিনেত্রী সোহানা সাবা বলেন, এই আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে, যা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে মা–বাবাদের নজর রাখতে হবে।

বিটিভি ভবন পরিদর্শনে আসা ব্যক্তিদের হাতে নানা লেখাসংবলিত ফেস্টুন ছিল। এর মধ্যে ছিল ‘আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের পক্ষে’, ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যম জ্বলে কার আগুনে, বিটিভিতে ধ্বংসযজ্ঞ কেন? এর পেছনে কারা?’ ইত্যাদি।