রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় গতকাল বুধবার পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি রাজশাহী: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নগরের রাজপাড়া থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত। মামলার পর ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন নগরের উপশহর এলাকার উয়াকিউর রহমান শাওন (২০), মউন ওরফে প্রত্যয় (২৩), দড়িখরবোনা এলাকার তানভীর আঞ্জুম ওরফে রাকিম (২০), মোল্লাপাড়া এলাকার মুরাদ হোসেন (২১), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমপাড়ার আবদুল মোহাইমিন (১৮), চারঘাট থানার মুংলী গ্রামের মাহফুজুর রহমান (২২), তানোর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবদুল হালিম (২২), পুঠিয়া উপজেলার বালিয়াঘাটা গ্রামের আসিফ হাসান (২২), দুর্গাপুর উপজেলার কিসমতমারিয়া গ্রামের সোহানুর রহমান (২৭), নগরের রামচন্দ্রপুর এলাকার তাসনিম আলম (২১) ও গাইবান্ধার মো. রিফাত সরকার (২০)।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গতকাল বেলা তিনটার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকার দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার সামনে রাস্তার ওপরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ইটপাটকেল ও ককটেল নিয়ে অবৈধভাবে বর্তমান সরকারকে উৎখাত ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ধ্বংসের জন্য অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে আসামিরা রাস্তার ওপরে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এলাকার লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটতে থাকেন। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ব্যবহৃত গাড়ির সামনের অংশ ভেঙে যায়। কনস্টেবল সুশান্ত ও মোতাহার ইটের আঘাতে আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান থেকে রাবার বুলেট ছোড়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ ২৩ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল হক বলেন, পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনার মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।