প্রাণঘাতী গুলি চালানো বন্ধ ও ছয় সমন্বয়ককে নিয়ে রিট উঠেছে রোববারের কার্যতালিকায়

হাইকোর্ট | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী গুলি ছোড়া বন্ধ করতে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ‘কথিত আটক’ প্রশ্নে রিটটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় উঠেছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আগামীকাল রোববারের কার্যতালিকায় রিটটি আদেশের জন্য ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে ২৯ জুলাই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রিটের ওপর গত ২৯ ও ৩০ জুলাই শুনানি হয়।

গত ৩১ জুলাই রিটটি আদেশের জন্য বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ওঠে। তবে বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় সেদিন দ্বৈত বেঞ্চ বসেননি। আদালত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অসুস্থতার কারণে বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ছুটি নেন। এ কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার দ্বৈত বেঞ্চ বসেননি।

আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, মানজুর–আল–মতিন এবং অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য শিরোনামে রিটটি আদেশের জন্য আগামীকালের কার্যতালিকায় ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গত বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেওয়া হয়। সেদিন বেলা দেড়টার একটু পরই তাঁরা ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের একটি গাড়িতে বেরিয়ে আসেন।

এরপর বৃহস্পতিবার রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মনে এখনো প্রশ্ন রয়েছে, কেন ও কোন ক্ষমতার অধীনে তাঁদের (ছয় সমন্বয়ক) এত দিন ধরে রাখা হলো। নিরাপত্তা হেফাজত বলতে কী বোঝানো হয়েছে—এখনো রয়েছে। ছয় দিন ধরে ছয়জন সমন্বয়ককে তাঁদের কোন ক্ষমতায় ও আইনের বলে ধরা রাখা হয়েছিল—এটা আমাদের পুরো জাতির জানা দরকার। তাঁদের জীবনের ছয় দিন যেভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কারা এটা করেছে—তাঁদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত ও জবাবদিহি করা উচিত।’

জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘ছয়জনের মুক্তির জন্য আদালতে গিয়েছিলাম। তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। ছয় দিনের জন্য তাঁদের আটক রাখা হয়েছে, তা আমাদের মতে বেআইনি। এভাবে আটক রাখার কোনো ক্ষমতা কারও নেই। দুদিনের শুনানিতে সরকারপক্ষ থেকে আইনের কোনো উদাহরণ পাইনি, কোন আইনে তাঁরা এত দিন ধরে রেখেছে।’