খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

জমি দলের অভিযোগ নিয়ে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার রাজশাহী প্রেসক্লাবে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন ব্যক্তি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে একই জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা অভিযোগ করেন খালেদ মাসুদ পাইলট।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, গোদাগাড়ীর চকনারায়ণপুর গ্রামের প্রায় দুই বিঘা ধানিজমি গত ১১ এপ্রিল তিনি বিক্রি করেন। রাজশাহী নগরের মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা নাসরিন সুলতানা জমিটি কিনে তাঁর দখল নেন। কিছুদিন পর ওই জমি খালেদ মাসুদ জোর করে ঘিরে নেন। প্রকৃত মালিক জমিতে গেলে তাঁদের হুমকি দেন এবং জমির বর্গা চাষিকে পুলিশ দিয়ে আটক করান।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, খালেদ মাসুদ হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে দিয়ে সবার ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে আমার বন্ধু, তাকে বললে সে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি দিয়ে সবাইকে সাইজ করে দেবে।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, পরে নাসরিন সুলতানা জমির দখল পাওয়ার জন্য স্থানীয় রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আবেদন করেন। গ্রাম আদালত খালেদ মাসুদকে বসার জন্য নোটিশ পাঠালেও সেখানে তিনি হাজির হননি। উল্টো বলেছেন, ‘জমিতে যদি কেউ আসে তাকে প্রশাসন দিয়ে ঝামেলায় ফেলব। আমি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, আমার কথা সবাই শুনবে।’ এসবের ফোন রেকর্ড আছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, এ জমি নাসরিন সুলতানার নামে খারিজ হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক যেন জমি ফিরে পান, তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে জমির ক্রেতা নাসরিন সুলতানার ভাই শাহিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, পাইলট চারটি দাগে জমি কিনেছেন, কিন্তু দখল নিয়েছেন এক দাগে। আর তাঁরা যে দাগে জমি কিনেছেন, সে দাগেরই দাবি করছেন।

এ ব্যাপারে বিকেলেই খালেদ মাসুদ পাইলট রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি দাবি করেন, নাসরিন সুলতানা দালালের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীরের ভাগের জমি তিনি আগেই বিক্রি করেছেন। বাস্তবে তাঁর কোনো জমি নেই। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে খালেদ মাসুদ বলেন, তাঁর কেনা জমি রীতিমতো ভূমি অফিস তাঁর নামে নামজারি করেছে। খাজনাও পরিশোধ করেছেন। জাহাঙ্গীর টাকা নিয়েছেন, তাই নাসরিন সুলতানার পক্ষে সাজানো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন।