আদালতে সাংবাদিক দম্পতি রুপা ও শাকিল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ফজলুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক-উপস্থাপক ফারজানা রুপাকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এই সাংবাদিক দম্পতির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার এই দুজনকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক খুদে বার্তায় বলা হয়, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে এলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, শাকিল ও ফারজানাকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি ২১ আগস্ট দায়ের করা হয়। উত্তরা পূর্ব থানার এ মামলা দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যার অভিযোগ) এবং ১১৪ ও ১০৯ ধারায় করা হয়েছে।
শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা স্বামী-স্ত্রী। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ইস্তাম্বুল হয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শাকিল ও ফারজানা। এ সময় সঙ্গে তাঁদের মেয়ে ছিল। তাঁরা একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অনুমতিও পান।
একপর্যায়ে ডিবির একটি দল বিমানবন্দর গিয়ে জানায়, শাকিল ও ফারজানা দম্পতির বিরুদ্ধে রাজধানীর একটি থানায় মামলা আছে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরে শাকিল-ফারজানা দম্পতিকে নিয়ে যান ডিবির সদস্যরা।
শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা কয়েক বছর ধরে একাত্তর টেলিভিশনে কাজ করছিলেন। ৮ আগস্ট তাঁদের ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। সেদিন বেসরকারি এই টেলিভিশন স্টেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী সেদিন (৮ আগস্ট) থেকেই শাকিল (হেড অব নিউজ) ও ফারজানাকে (প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ও প্রেজেন্টার) চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।