জাতীয় প্রেসক্লাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন

জাতীয় প্রেসক্লাব | ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও শাহনাজ সিদ্দিকীকে ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক নোটিশে বলা হয়, ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে তাঁদের দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি ব্যবস্থাপনা কমিটি বরাবর পেশ করেন। তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে জাতীয় প্রেসক্লাব ও সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ওই তিনজনকে অব্যাহতি ও সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজকে সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোববার ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসান হাফিজ।

ফরিদা ইয়াসমিন ও শ্যামল দত্তের বিবৃতি
এদিকে ফরিদা ইয়াসমিন ও শ্যামল দত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ক্ষমতা পালাবদলের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সদস্য চর দখলের মতো ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সহসভাপতি হাসান হাফিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া অগঠনতান্ত্রিকভাবে নিজেদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা অগঠনতান্ত্রিকভাবে সভা ডেকে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি এবং একজন সদস্যসহ তাঁদের তিনজনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। এ ছাড়া ৫০ জনের বেশি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সদস্যপদ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে এই ধরনের অগঠনতান্ত্রিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড গঠনতন্ত্রবিরোধী ও অবৈধ গণ্য হবে বলেও তাঁরা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

বিবৃতিতে ফরিদা ইয়াসমিন ও শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, গণতন্ত্রমনা সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের “দ্বিতীয় বাড়ি” জাতীয় প্রেসক্লাব জবরদখলের এই কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সমর্থন করবেন না।’