ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামলায় আহতরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আহতদের চিকিৎসা দিতে আসা এক পল্লিচিকিৎসককেও পিটিয়ে আহত করা হয়।  হামলার সময় ভুক্তভোগীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।

আহতরা হলেন– দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকারের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান ও পলাশ সরকার, ভাতিজা শান্ত সরকার এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অরুণা খাতুন। অপর আহত পল্লিচিকিৎসক হেলাল প্রামাণিক পাশের পাছপাঙ্গুলী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তাদের ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকার ও প্রতিবেশী আনিছের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার তুচ্ছ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আনিছ ও তার লোকজন মহসিন সরকারের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিলে মহসিন সরকারের পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আনিছের লোকজন মহসিন সরকার ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আসা স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসককেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আনিস বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি, প্রতিপক্ষের লোকজনই হামলা করেছে। তাদের লোকজন মিথ্যা ব্যান্ডিস-টেন্ডিস করে এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিরোধপূর্ণ জমির গাছ থেকে পেয়ারা পাড়া ও চুলা ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের লোকজনই হাসপাতালে আছেন। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।