বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার শোকাবহ দিন বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: জাতীয় শোক দিবসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনার ঈশ্বরদীতে দখলে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ‘ফ্যাসিবাদের কবর রচনা ও বাংলার ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার আহ্বানে তাঁরা বৃহস্পতিবার সকালে গন অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেন।

এ দিন উপজেলার কোথাও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলা হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও। নেতাকর্মীরা রয়েছেন আত্মগোপনে। কেউ শোক দিবস পালন করতে আসেননি।

এদিকে, শোক দিবসে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে, এমন সম্ভাবনা থেকে আগের দিন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঈশ্বরদী। ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে  শহরের রেলগেট এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সবাই আলহাজ্ব মোড় এলাকায় সমাবেশ করেন। দুপুর পর্যন্ত চলা সমাবেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘গণহত্যার‘ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার দাবিতে শহরের আলহাজ্ব সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলার রাজপথ থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান হতে দেওয়া যাবে না। আর কখনও রাজপথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের দ্বারা বাংলার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হতে দেওয়া যাবে না। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ১৫ আগস্ট পালন করতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে জুলাই-আগস্ট মাস হবে ছাত্র-জনতার শোকের মাস।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী উপজেলা সমন্বয়ক মুহিত মোস্তাকিমের সভাপতিত্বে এসময় তাঁদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাইল হোসেন শান্ত ও ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী সজীব হাসান ও আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।