রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। কুরস্ক অঞ্চল, রাশিয়া, ১৭ আগস্ট | ছবি: রয়টার্স |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী। তারা অঞ্চলটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সেতু ধ্বংসের দাবি করেছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংসের কথা জানাল।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গতকাল রোববার রাশিয়ার এই দ্বিতীয় সেতুটিতে হামলার একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে।
বলা হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলের জাভানোই এলাকায় সিম নদীর ওপরে থাকা সেতুটি হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ফুটেজ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাঁর দেশে রুশ হামলা বন্ধে একটি ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কে সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
দ্বিতীয় সেতুটিতে হামলার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক। পোস্টে তিনি লিখেছেন, আরও একটি সেতু ধ্বংস করা হলো।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেতুটির একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে।
তবে কখন এই হামলা চালানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি কুরস্কের গ্লুসকোভো জেলার কাছে সিম নদীর ওপর আরেকটি সেতু ধ্বংস করে ইউক্রেনের বাহিনী। সেনাসহ রসদ সরবরাহে সেতুটি ব্যবহার করত রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন কুরস্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করতে চায় বলে রাশিয়া অভিযোগ তুলেছে।
মস্কোর ভাষ্য, এ ক্ষেত্রে কিয়েভকে পশ্চিমারা সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের হামলা চালিয়ে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলানো যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রুশ বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভেতরে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। রুশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে সুদজা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন।