ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আনসারদের মধ্যে সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত হয়েছেন। আহত হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার রাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘হাসনাতের জ্ঞান ফিরেছে। আশা করি, দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
আনসার সদস্যরা সচিবালয়ে উপদেষ্টা, কর্মকর্তা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, এমন খবরে রাত ৯টার দিকে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। সচিবালয়ের সামনে তাঁদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সারজিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।’
প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সচিবালয় এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আহত হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতাও লাঠি হাতে নেমে পড়েন। ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান আনসার সদস্যরা। পালানোর সময় লাঠি দিয়ে আনসার সদস্যদের পিটিয়েছেন ছাত্র–জনতা। পরে সেনাবাহিনী সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিলে পরিবেশ শান্ত হয়।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আনসারদের মারধর আহত হয়েছেন প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ হাওলাদার। তিনিও বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন।
রাতে পৌনে ৯টার দিকে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহতদের প্রায় সবারই মাথায় আঘাত রয়েছে। আহতদের মধ্যে আনসার, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক রয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী ও আনসার আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের বেশির ভাগেরই মাথায় আঘাত। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।