বাম গণতান্ত্রিক জোটের লোগো | গ্রাফিক:পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্বসতর্কতা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো দেশ নদীর ওপর দেওয়া বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে ভাটির দেশকে জানানোর কথা। কিন্তু এবার পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ডুম্বুর ও কলসি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাম জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ভারতের কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানিয়েছে বলে শোনা যায়নি। এর মধ্য দিয়ে বিগত সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে চলছে কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে ৫৪টি নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে ভারত। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে মরুকরণের ঝুঁকিতে পড়ছে। তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে মারছে ভারত। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে বাম জোটের নেতারা দেশবাসীকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়িসহ ৯ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাম জোটের নেতারা। বন্যাকবলিত জেলাগুলোকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বানভাসি মানুষকে উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া ও পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন।