শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথক দুটি হত্যা মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকসহ সাতজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এ আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এঁদের সবার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় শামসুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে লালবাগ থানা–পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, পল্টন থানার মামলায় শামসুল হক, জুনাইদ আহ্‌মেদ ও তানভীরকে ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া আহমদ হোসেন ও মো. সোহায়েল গ্রেপ্তার হন ২০ আগস্ট। পরে তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া আরিফ খানকে ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে মোহাম্মদপুরের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ট্রাকচালক মো. সুজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাদেক খানকে গতকাল শনিবার রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।