আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আবু সাইম জাহান | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি বগুড়া: শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন বগুড়ার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহান। শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়া, ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষার্থীদের হয়রানি, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ এনে আজ সোমবার দিনভর বিক্ষোভ করেন।

এর আগে রোববারও দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহানকে পদত্যাগ করতে তাঁরা রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করে অন্য এক শিক্ষককে অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দিয়ে বিকল্প পথে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান বলে ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক পরিয়চ দিয়ে খোরশেদ রেজা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন করে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কোটায় সরকারি চাকরি হাতিয়ে নেন আবু সাইম জাহান। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আড়াই বছর আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ হাতিয়ে নেন তিনি। আড়াই বছর ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও নির্যাতন করে চলেছেন। দুর্নীতিবাজ এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানে আর চান না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

খোরশেদ রেজা আরও বলেন, আবু সাইম জাহানকে আর প্রতিষ্ঠানে আসতে দেওয়া হবে না। তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণের চিঠি না আসা পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে।

আবু সাইম জাহান সাজু মোহাম্মদ শাহজাদা নামের এক শিক্ষকের কাছে চলতি দায়িত্ব দিয়ে রোববার বিকেলে প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন। তবে সাজু মোহাম্মদ শাহজাদা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন সরকারি পলেটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) শফিউল আল আজিজ। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, আবু সাইম জাহান এ প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কাউকে না জানিয়ে চলে গেছেন। সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করলেও তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি। পরে সাজু মোহাম্মদ শাহজাদা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।