আবুল কালাম আজাদের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ শিকারের সময় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন
প্রতিনিধি বাগমারা: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের তিনটি পুকুরে বিষ দিয়ে কোটি টাকা মাছ মেরে ফেলার পর কিছু মাছ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় জামগ্রামে এ শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এটা সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নিজ গ্রাম। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তার মাছ চাষের ব্যবসায়ীক অংশীদার হাসিবুল আলম শাওয়ন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিজ নিয়ে নিজে পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করতেন আবুল কালাম আজাদ। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর কয়েকটি পুকুরের শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। রাজশাহী ফিড ব্যবসায়ী ‘অনন্যা ইন্টারপ্রাইজের’ মালিক হাসিবুল আলম শাওয়ন শেয়ার কিনে নেন।
হাসিবুল আলম শাওয়ন বলেন, 'গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান সাংসদ আবুল কালাম আজাদ। ওইদিন তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছিল। এরপর থেকে তার কয়েকটি পুকুর দখল ও মাছ লুটের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিভিন্নভাবে পুকুরগুলো রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।'
শুক্রবার একটি পুকুরে মাছ ধরতে জাল ও জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন মাছ মারতে বাধা দেয়। এর জেরে শনিবার গভীর রাতে এক সঙ্গে তিনটি পুকুরে বিষ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
হাসিবুল বলেন, 'বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মরে গিয়ে ভেসে উঠে। এর পর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরাসহ গ্রামের লোকজন মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এতে তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।'
আত্মগোপনে থাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, 'পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন বা লুট করার কোন অভিযোগ পায়নি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'