মামলা | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, মারধর ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলমসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গুলিতে আহত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন (২২) বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলাটি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী রাকিব হোসেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী, পাঁচবিবি পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী, কালাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান নাদিম, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির, সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী ইমরুল হাসান, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, মাত্রাই ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হাবিব। এ ছাড়া মামলায় দুজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কালের কণ্ঠের জয়পুরহাট প্রতিনিধি আলমগীর চৌধুরী ও ক্ষেতলাল উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। আবু সাঈদ আল মাহমুদ, সামছুল আলম, জাকির হোসেন, আলমগীর নামের একজনসহ চারজনের নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্র, পেট্রলবোমা, ককটেল, পিস্তল নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। পিস্তল দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়লে রাকিব হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এর আগে আরও দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেতু ও সড়ক