ঈশ্বরদীয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ-ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে আগুন

ঈশ্বরদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের একপর্যায়ে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়; এতে আহত হয়েছেন দুইজন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার নতুন রূপপুর কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে, ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান। 

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আহতরা হলেন- উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকার শফি প্রামাণিকের ছেলে সজল প্রামাণিক ও বাঘাইল এলাকার আব্দুল গাফফারের ছেলে কামরুজ্জামান ফিরোজ। আহত দুজনই স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট রূপপুর জিগাতলা এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সুমন গ্রুপের শরীফ হোসেন নামে এক কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা শরিফা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহাপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে রূপপুর জিগাতলা মোড় থেকে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কড়ইতলা মোড়ে যাচ্ছিলেন আসামিপক্ষের লোকজন। পথে রূপপুর গোরস্থান এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।  

মামলার প্রতিবাদে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমন বলেন, 'হত্যা মামলার আসামিদের প্রকাশ্যে ঝাড়ু মিছিল করতে দেখে গ্রামবাসী তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। পরে মিছিলকারীরা আমার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন।'

পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, 'একটু উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।'

ঈশ্বরদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

বিস্তারিত পড়ুন

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ অগাস্ট রাতে সচীন বিশ্বাস সাজু নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হন। সেই ঘটনার জেরে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা বলে এলাকাবাসী জানান।