জামনগর, পোরবন্দরে গত বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে | ছবি: এএনআই

প্রতিনিধি নয়াদিল্লি: বানভাসি গুজরাটকে ভাবাচ্ছে নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা। যদিও ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ গুজরাট উপকূল থেকে ক্রমশ আরব সাগরের পূর্ব প্রান্তে সরে যাওয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কচ্ছ, জামনগর, সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা, পোরবন্দরের মতো পশ্চিম প্রান্তের জনপদে প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

চিন্তা এটাই। একেই গত পাঁচ দিনের প্রবল বর্ষণে গুজরাটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। পানির স্রোতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গাড়ি ও মানুষ। ইতিমধ্যেই মারা গেছে প্রায় ৪০ জন। প্রায় দেড় হাজার প্লাবিত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুই হাজার জনকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে। অবস্থার সামাল দিতে ডাকা হয়েছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব বাড়তি আশঙ্কা বয়ে এনেছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র নামকরণ করেছে পাকিস্তান। এর বিশেষত্ব হলো, নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে গুজরাটের পশ্চিম তটবর্তী অঞ্চলে। পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সমুদ্রের দিকে এগোচ্ছে। সাধারণত নিম্নচাপ তৈরি হয় সমুদ্রে, পরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে স্থলে আছড়ে পড়ে। এটি উল্টো। স্থলে সৃষ্টি হওয়ার দরুন ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের ঝাপটা থেকে গুজরাট রেহাই পাচ্ছে না। ইতিমধ্যে বন্যাপ্লাবিত গুজরাটের কাছে সেটা হয়েছে গোদের উপর বিষফোড়ার মতো নতুন বিপর্যয়। শুক্রবার থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়। বন্যাপ্লাবিত রাজ্যের সাতটি জেলায় নতুন বিপর্যয়ের সংকেত জারি করা হয়েছে। জনজীবন এখনো বিপর্যস্ত।

আজ শনিবার সকালে ‘আসনা’র অবস্থান ছিল ভূজের ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। করাচির দিকে তা এগোচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

কচ্ছের জেলা শাসক ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন কাঁচা ঘরে বাস করা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানোর। সে জন্য পাকা স্কুলবাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে। মাছ শিকারে সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে জেলেদের। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সাধারণত আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় হয় না। তবে ১৯৪৪, ১৯৬৪ ও ১৯৭৬ সালে তিনবার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিল গুজরাট।