টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধায় স্মরণে বঙ্গবন্ধু

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ শেষে মোনাজাত করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ: জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধি বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে করে শ্রদ্ধা জানান।

এসব তথ্য জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরে দেশে যেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল; ৪৯ বছর পর আবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও বঙ্গবন্ধুর লাখ লাখ অনুসারী টুঙ্গিপাড়ায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।'

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা তিনি প্রতি বছরই ১৫ অগাস্টে টুঙ্গিপাড়া এসে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এছাড়া বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ও প্রতি বছর এ দিনে টুঙ্গিপাড়া আসতেন তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতীয় শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানাতেন। আয়োজন করা হত আলোচনা সভার। জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখতেন।

 গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা রয়েছেন আত্মগোপনে।

কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় সকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ‘ঢল নামে’। শ্রদ্ধা জানাতে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, উপজেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও শ্রমিকলীগসহ অন্যান্য সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ছুটে আসেন আশেপাশের এলাকার মুজিবপ্রেমীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গোপালগঞ্জের পাশের জেলা বাগেরহাট, নড়াইল ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ‘পাবলিক প্লাজায়’ জেলা আওয়ামী লীগ শোকসভার আয়োজন করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খানের সভাপতিত্বে এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, সোলায়মান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাসসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

ঘাঘর বাজার বণিক সমিতির ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান লিটন। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

শোকসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, “সারাদেশে হত্যা আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা আজ ভূলুণ্ঠিত। তাই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এর আগে শোক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

কালো ব্যাজ বুকে ধারণ করে লাখ লাখ বঙ্গবন্ধুর অনুসারী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে আসেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা গোপালগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। একইসঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করেছেন।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ৭৩ বছর বয়সী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, '৭৫ সালের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। কিন্তু এ বছরের মতো এত মানুষ আমি কোন বছর দেখিনি।'

বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা গ্রামের বদরুল আলম বলছিলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, ভাস্কর্য ভেঙে, ৩২ নম্বর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। ৭৫ সালে ঘাতকরা তাকে হত্যা করে নিষিদ্ধ করেছিল। ৭৫ পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালির কাছে চিরন্তন। এ অন্ধকার কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু তার আদর্শ দিয়ে আবার স্বমহিমায় ফিরবেন।'

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, 'আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাকে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে জাতীয় শোক দিবস আমরা পালন করছি।'

ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলা, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গাসহ আটটি উপজেলা সদরে শোক দিবস পালন করেছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বোয়ালমারী থানা রোডের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।

দিবসটি উপলক্ষে থানা রোডের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা হয়। এতে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, মো. ইসরাফিল মোল্যা, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান মোল্যা, সাবেক ভিপি হাসানুজ্জামান মিয়া মুকুল, জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল এ সময় বক্তব্য রাখেন।

বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র সাইফুর রহমান, যুবলীগের আহ্বায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাওসার হোসেন টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন।

যশোর
যশোরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ভাঙা ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ অগাস্ট ম্যুরালটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।

দিবসটি উপলক্ষে শহরের পুরাতন কসবায় ‘পুরাতন কসবা’- আওয়ামী লীগের ব্যানারে দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় ১৫ আগস্ট নিহত শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, আলী রায়হান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্প্দাক হারুন-অর-রশিদ, উপদেষ্টা মোবাশ্বের হোসেন বাবু, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিঠু ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা আরা মিলি উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর
সকালে পুরান বাজারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবিএম বজলুর রহমান খান রুমি, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বাবুল আখতার, প্রচার সম্পাদক বাবু শরীফ, সহ-দপ্তর সম্পাদক ফোরকান মুন্সী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভেজ চৌধুরী, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ বাড়ৈ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজ খান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হাওলাদার, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইলিয়াস শরীফ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খানসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ সময় বক্তব্য রাখেন।

নারায়ণগঞ্জ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্চলি জ্ঞাপন করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি কামরুল হুদা বাবুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একই কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান।

গত ৫ অগাস্ট গণঅভূত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোবারক আলী সিকদারের নেতৃত্বে জাজিরায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল শোক র‌্যালি বের করা হয়। পরে তার বাড়িতে বাড়িতে দোয়া ও গণভোজ হয়।

এরপর শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে এনে আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে সংগঠিত করার দাবি জানান।

এছাড়াও বঙ্গভবন ও সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলে অবমাননার প্রতিবাদ জানান তারা।

সিলেট
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর উপশহরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা-মহানগরের উদ্যোগে এ সভা হয়।

সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের দপ্তর কমান্ডার সুবেদার মেজর মো. রফিক উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার অধ্যক্ষ আকরম আলীসহ অন্যরা।

সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল যারা ভেঙেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, 'স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরান (রহ.), হযরত বোরহান উদ্দিন (রহ.) এর মাজারসহ সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।'