বগুড়ায় পরিবহন ব্যবসায়ীর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি

বগুড়া জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় বিএনপি-সমর্থক পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ফজলুর রহমান তালুকদারের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ১৮-২০টি মোটরসাইকেল এসে তাঁর বাসার সামনে গিয়ে প্রথমে চারটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে তারা। এরপর ইটপাটকেল ছুড়ে ছয়তলা বাসার দোতলার জানালা ও সিঁড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়।

হামলার সময় ফজলুর রহমান তালুকদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাসার ভেতরেই ছিলেন। বাসার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আলাদা দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌঁছার অগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ফজলুর রহমান তালুকদার বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাস-মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হতে চান বগুড়া পৌরসভার একজন কাউন্সিলর। তাঁর প্যানেলে সভাপতি হওয়ার জন্য দুই দিন আগে তিনি প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই কাউন্সিলর আমার ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। হামলাকারীদের দুজন মুখচেনা। এই দুজন কাউন্সিলের সমর্থক। ধারণা করা হচ্ছে, বাস মিনিবাস মালিক সমিতি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই আমাকে হত্যা করতে বাসায় এসেছিল। বাসার ফটক বন্ধ থাকায় হামলাকারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরির পর বাসায় ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করেছে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ফজলুর রহমানের ছেলে শাকিল তালুকদার বলেন, ‘রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাসার সামনে মহল্লার পরিচিত একজনের সঙ্গে গল্প করছিলাম। এ সময় হঠাৎ ১৮-২০টি মোটরসাইকেলে ৪০-৫০ জন ব্যক্তি পানির ট্যাংকি গলির ভেতরে আমাদের বাসার সামনে আসেন। দুজন আমার মুখচেনা হওয়ায় তাঁরাসহ চার–পাঁচজন আমাকে বাসার ভেতরে যেতে বলেন। মহল্লার পরিচিত ওই ব্যক্তিসহ আমাদের দুজনকে ধাক্কা দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রধান ফটক ভেতর থেকে বন্ধ করে দিই। এক মিনিট যেতে না যেতেই হঠাৎ পরপর চারটি গুলির শব্দ। এরপর এলোপাতাড়ি ছোড়া ইটপাটকেলে কাচ ভাঙার শব্দ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভাঙচুর শেষে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পরিবহন ব্যবসায়ী ফজলুর রহমানের বাসায় হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল দলকে পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।