আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা, সুবিধা-অসুবিধা দেখা এবং সেটি যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে সেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা (কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা) জনগণের অসুবিধা হোক, জনগণ দুঃখকষ্ট ভোগ করুক—এমন কার্যক্রম পরিহার করবেন। আমার মনে হয়, তাঁরা ঘরে ফিরে যাবেন।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে অবশ্যই ঘরে ফিরে যাবেন। আরও বড় কথা হচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা জনগণের অসুবিধা হোক, সেটি চান না।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের পরও আন্দোলন অব্যাহত আছে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমার তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করেছে; সেই প্রেতাত্মা আজ যে কিছুটা হলেও এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত নয়, সেটা তো আমি অস্বীকার করতে পারব না। সেটা আপনারাও বুঝতেছেন, আমরাও বুঝতেছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে না গেলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা। সরকারের দায়িত্ব, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা দেখা এবং সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে সেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অন্যদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস-কাণ্ডে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা জানি না, সেটা বলতে পারব না।’

আজ সকাল সাতটায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে মহানগর গোধূলী ট্রেনে তিনি আবার ঢাকা ফিরবেন।