মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেই

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও তা ধীরগতির। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক এখনো বন্ধ আছে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতের মধ্যে ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালুর ঘোষণা দেয় সরকার। তবে এ সংযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইন্টারনেটও অনেক ধীরগতির।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ইউটিউবসহ গুগলের সেবার ক্যাশ সার্ভারগুলো যেন আরও সক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার যেন বন্ধ রাখা হয়।

বিটিআরসি ও আইআইজি সূত্র জানায়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও তা আগের মতো অবস্থায় নেই। পাঁচ থেকে সাত দিন যদি ব্যান্ডউইথ না থাকে, তখন কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন) সমৃদ্ধ হতে বা আগের অবস্থায় ফিরতে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় নেয়। সে কারণে এখন ইন্টারনেটের গতি ধীর পাওয়া যাচ্ছে। এটা দু–এক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

অন্যদিকে সরকার এখনই ফেসবুক ও টিকটক চালু করছে না। গত বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কোনো জবাবদিহি নেই। তারা একেক দেশে একেক ধরনের আচরণ করে। বুস্টিংয়ের মাধ্যমে তারা ঠিকই বাংলাদেশে ব্যবসা করছে; কিন্তু দেশের নিয়ম মানছে না। বাংলাদেশের নিয়ম মানতে তাদের চিঠি দেবে সরকার। এর জবাব দিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে হাজির হতে বলা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার পোল্যান্ডভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে গত জুন পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটির বেশি। এ ছাড়া ডাটাপোর্টালের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন।

মোবাইলের ফোর–জি নেটওয়ার্ক চালুর ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানান, আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার ও সোমবারের মধ্যে ফোর–জি চালুর চেষ্টা চলবে বলেও জানান তিনি।

অপারেটর সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফোর–জি চালু নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে আলোচনার কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি।