এই বাইসাইকেল কিকেই গোল করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান জুড বেলিংহাম | এক্স |
খেলা ডেস্ক: রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে না দিতেই ঘুরে দাঁড়ানোর ডিএনএ ভালোভাবেই শরীরে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন বেলিংহাম। গত মৌসুমে রিয়ালকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ একক নৈপুণ্যে জিতিয়েছিলেন, পিছিয়ে পড়েও দলকে একাধিকবার ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন।
গেলসেনকির্চেনের আউফশালকে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ইউরোয় টিকিয়ে রাখতে বেলিংহামকে ‘রিয়ালের বেলিংহাম’ হিসেবে আবির্ভূত হতে হতো। তবে এ ক্ষেত্রে একক নৈপুণ্যের চেয়ে যে শব্দ দুটি সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়, তা হলো ‘ইনডিভিজুয়্যাল ব্রিলিয়ান্স’। বেলিংহাম সেটাই করে দেখালেন।
স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিট পর্যন্তও ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড যখন বিদায়ের প্রহর গুনছে, তখনই বাইসাইকেল কিকে বেলিংহামের গোল!
১–১ সমতা চলে আসা ম্যাচটা এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়াল। সেখানে জয়সূচক গোল করলেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
আগামী শনিবার রাতে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেলিংহাম–কেইনদের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিদায় করা সুইজারল্যান্ড।
শুরু থেকে স্লোভাকিয়ার রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে ইংল্যান্ড। তবে খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় স্লোভাকিয়াই। ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ইভান শরাঞ্জ। পিছিয়ে পড়েই বিরতি যায় ইংল্যান্ড।
গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠা ইংল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরতে পারত। সদ্য তৃতীয় সন্তানের বাবা হয়ে দলে যোগ দেওয়া ফিল ফোডেন ৫০ মিনিটে স্লোভাকিয়ার জাল খুঁজে নেন। কিন্তু অফসাইডে থাকার ফোডেনের গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও যখন সমতাসূচক গোলটা পাওয়া হচ্ছিল না, তখন বিশেষ কিছু করা ছাড়া উপায় ছিল না ইংল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কাইল ওয়াকারের লম্বা থ্রো থেকে বক্সের জটলায় গুয়েহি হেড করেন। এরপর বল চলে যায় বক্সের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে থাকা বেলিংহাম। বলের উচ্চতা বুঝে নিয়েই তাঁর সেই বাইসাইকেল কিক।
এরপর অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই বদলি ইভান টনির কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে অধিনায়ক কেইনের জয়সূচক গোল।