গ্রেপ্তার | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি রাজশাহী: দুই নারী পুলিশ সদস্যকে মারধর ও একজনের বাহুতে কামড় দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল।
মোহনপুর উপজেলা পরিষদের এই ভাইস চেয়ারম্যানের নাম শেখ হাবিবা। তিনি মোহনপুর উপজেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। আহত দুই নারী পুলিশ সদস্যের নাম সান্ত্বনা মোহন্ত ও সাথী শীল। তাঁরা দুজনই মোহনপুর থানার কনস্টেবল। এর মধ্যে সান্ত্বনা মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসি হরিদাস মণ্ডল জানান, গত সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে ওই দুই নারী কনস্টেবল থানার পাশের একটি কাঁচাবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাথী শীলের হাতে ক্যানুলা পরানো ছিল। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাবিবা হাতে ক্যানুলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাথী শীল কোনো কথা না বলে চলে যান।
ওসি বলেন, শেখ হাবিবা কোনো অজুহাতে পেলেই ঝামেলা করেন। এই জন্য দুই কনস্টেবল তাঁকে এড়িয়ে অন্য দোকানে চলে যান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবা তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেন। একপর্যায়ে তাঁদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা কনস্টেবল সান্ত্বনার বাম বাহুতে কামড় দেন। তারপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে নিবৃত্ত করেন।
ওই দিন ওসি বলেছিলেন, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এখন তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শেখ হাবিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর স্বামী হেলাল হোসেনের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। তিনিও হাবিবাকে ফোনে পাচ্ছেন না। পুলিশের সঙ্গে ঘটনা শুনেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তাঁকে (হাবিবা) আঘাত করেছে। আপনি হলেই কী করবেন বলেন?’ এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করবেন কি না, জানতে চাইলে হেলাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরই এসপি স্যার এসে হাবিবার সঙ্গে দেখা করেছেন। কী আলাপ হয়েছে হাবিবার সঙ্গে, কথা না বলে তিনি বলতে পারছেন না। এরপর তিনি আর যোগযোগ করেননি।
এই ঘটনায় বিকেলে সান্ত্বনা মোহন্ত বাদী হয়ে শেখ হাবিবাকে আসামি করে মোহনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ শেখ হাবিবাকে গ্রেপ্তার করেছে। বিকেলেই তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওসি রাত সাড়ে আটটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।