সংসদ সদস্যের আসতে দেরি, শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ

সংসদ সদস্য না আসায় শোভাযাত্রার জন্য রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও তাদের কাছে ছাতা ছিল। একপর্যায়ে তারা জেলা প্রশাসকের বারান্দায় আশয় নেয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নাটোর: সংসদ সদস্যের আসতে দেরি হওয়ায় শোভাযাত্রায় আসা শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আয়োজকেরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আজ সকালে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দিবসটি উপলক্ষে মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই ১৫ থেকে ২০ শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়। যথাসময়ে মানববন্ধন শেষ হয়। কিন্তু প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী না আসায় শোভাযাত্রা শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। এতে প্রায় এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের বারান্দায় বসে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরে সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানস্থলে এলে তাঁকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে শোভাযাত্রা শেষ করা হয়।

দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, ‘মাইকে বারবার প্রধান অতিথি আসছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি আসছিলেন না। আমাদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা খুব কষ্ট পাইছি।’

তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নাটোরের উপপরিচালক লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়।

অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অন্য একটি সভায় যোগ দেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের হয়রানির বিষয়টি আলোচিত হয়। তখন সংসদ সদস্য বলেন, অনুষ্ঠানটি ছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। সেখানে শিক্ষার্থীদের কেন দাঁড় করিয়ে রাখা হবে। সেখানে আসার আগে তিনি শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানতেন না।