কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৫ জুলাই | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটায় সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ থামার পর নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে কার্জন হলসংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনকারীরা এই কর্মসূচি ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হতে চাইলে দোয়েল চত্বরে থাকা বিপুলসংখ্যক পুলিশ তাঁদের সেখানে যেতে বাধা দেয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটায় আমরা সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করব। আমাদের বৃহত্তর গণ–আন্দোলনে যেতে হবে।’ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীরা যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য হলে হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান নাহিদ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আজ অন্যতম মর্মান্তিক দিন। পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত ও অছাত্রদের ক্যাম্পাসে এনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০-২৫ জনের অবস্থা গুরুতর। হামলা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নীরব ভূমিকা দেখা গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এই প্রক্টরকে চান না।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা করছিল আগে থেকেই। কিন্তু এই আন্দোলন সহিংসভাবে দমন করা যাবে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করছি৷ এখানে তৃতীয় পক্ষের ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। যৌক্তিক দাবি পূরণ করে দিলেই আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে।’
নাহিদের বক্তব্যের পর আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা যে যাঁর মতো ফিরে যান।