ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিমসটেক জোটের সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। নয়াদিল্লি, ভারত, ১২ জুলাই | ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাসস, ঢাকা: মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বিকেলে এ কথা বলা হয়েছে।

রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁদের আগের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার চিহ্ন দেখা যায়নি। ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে’ উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তাঁর সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন।

এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আজ সকালে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্রসচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো–অপারেশনের (বিমসটেক)’ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ রিট্রিটে এই জোটকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে অংশ নেন। নিত্যপণ্য আমদানির সুবিধা অব্যাহত রাখা, তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল প্রেরণের বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।