রাজশাহী নগরে ছুরিকাঘাতে নিহত আবু হানিফ | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহীতে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে প্রতিপক্ষ এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার নগরের ছোটবনগ্রাম কোটাপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রোববার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে নিহত যুবকের স্বজনেরা তাঁর লাশ নিয়ে চন্দ্রিমা থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন।  

মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম আবু হানিফ সাব্বির (২২)। তিনি নগরের ছোটবনগ্রাম এলাকার মো. হায়দারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রিমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান। সাব্বিরকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বাবা গতকাল রাতে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন ছোটবনগ্রাম এলাকার মিজানুর, তাঁর ভাই আবদুল্লাহ ও তাঁদের বাবা গোলাপ এবং মান্নানের ছেলে অন্তর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে সাব্বির তাঁর পাওনা ৩৫০ টাকা চান আবদুল্লাহর কাছে। এ সময় তাঁকে গালিগালাজ করে ফিরিয়ে দেন আবদুল্লাহ। সাব্বির তাঁর ভাইকে নিয়ে আবারও পাওনা টাকা ফেরত পেতে সন্ধ্যার পর আবদুল্লার কাছে যান। এ সময় আবদুল্লাহর ভাই মিজানুর, তাঁদের বাবা গোলাপ এবং মিজানুরের বন্ধু অন্তর, সাব্বির ও তাঁর ভাইকে হাঁসুয়া ও চাকু দিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় সাব্বিরের বুকে ও পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় ব্যক্তিরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. বেলাল হোসেন জানান, নগরের চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম কোটাপকুর এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় সাব্বির নামের এক যুবককে রাত ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির নির্দেশ দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ১০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

দাফনের আগে রোববার বিকেলে সাব্বিরের লাশ নিয়ে এলাকাবাসী চন্দ্রিমা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারসহ এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান। 

রাজশাহী নগরের ছোটবনগ্রাম কোটাপুকুর এলাকার আবু হানিফের লাশ নিয়ে রোববার বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এই বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।