রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ১৮ জুলাই বেলা সোয়া ৩টার দিকে | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও সুপারিশ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা ছাত্রদের নয়টি আবাসিক হলে ভাঙচুর করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষরা। এতে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় চার কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে আছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল।

অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ঘটনার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কী করণীয় (সুপারিশ) সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কমিটিকে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চার ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এই সময় বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে অন্তত ছয়টি আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরসহ তাঁদের কক্ষে অভিযান চালিয়ে পিস্তল, বিদেশি মদ ও রামদা উদ্ধার করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওই দিন ক্যাম্পাস আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। তবে ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।