টাইব্রেকারে শেষ শট জালে জড়াতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় ইংল্যান্ড ফুটবলারদের | এএফপি |
খেলা ডেস্ক: জালে জড়িয়ে বলটা ফিরে আসতেই হাতে তুলে নিয়ে জোরালো এক কিকে গ্যালারিতে উড়িয়ে পাঠালেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আর্নল্ড। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেঁকে বসা চাপটাই যেন দূরে কোথাও পাঠাতে চাইলেন। একটু এদিক–ওদিক হলেই যে ছিটকে যেতে হতো টুর্নামেন্ট থেকেই!
ইংল্যান্ড নয়, ইউরো থেকে ছিটকে গেছে সুইজারল্যান্ড। টাইব্রেকারে সুইসদের ৫–৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের খেলায় ১–১ সমতা থাকা ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের শেষের নায়ক জর্ডান পিকপোর্ড। টাইব্রেকারে আলেক্সান্ডার–আর্নল্ডসহ ইংল্যান্ডের সবাই বল জালে জড়ালেও সুইজারল্যান্ডের মানুয়েল আকাঞ্জির শট আটকে দেন ইংলিশ গোলকিপার। এই সেভই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচের শেষমুহূর্তে হাসলেও এর আগের বেশির ভাগ সময়ই চাপে ছিল ইংলিশরা। আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র হ্যারি কেইন কোনো প্রভাবই রাখতে পারেননি। একটা পর্যায়ে ইংলিশ গ্যালারি থেকে তাঁকে উঠিয়ে নেওয়ার স্লোগানও শুরু হয়ে যায়। কেইনের তুলনায় জুড বেলিংহাম ভালো খেলেছেন বটে, কিন্তু প্রত্যাশিত মানে ছিলেন না।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বারবার যা আশান্বিত করার, সেটি করেছেন বুকায়ো সাকা। বেশ কয়েকবারই বল নিয়ে সুইজারল্যান্ড রক্ষণে হুমকি তৈরি করেন এই আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে প্রথম গোল অবশ্য সুইজারল্যান্ডই করেছে। ৭৫ মিনিটে রুবেন ভারগাস বক্সের এক পাশ থেকে গোলমুখে যে বলটি বাড়ান, সেটি রুখে দেওয়ার সুযোগ ছিল জন স্টোনসের। কিন্তু ইংলিশ সেন্টারব্যাক সেটিতে পা–টাই ছোঁয়াতে পেরেছেন, বলের গতিপথ বদলাতে পারেননি। গোলমুখে থাকা ব্রিল এমবোলো সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল জালে জড়ান।
গোল হজমের দ্রুত কোল পালমার, এবেরেচি এজে ও লুক শকে বদলি হিসেবে নামান ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সেটির সুফল আসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। ডান পাশ থেকে আর্সেনাল সতীর্থ ডেকলাইন রাইসের বাড়ানো বল ধরে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান সাকা।
সমতা আনার পর ইংল্যান্ডের আক্রমণেও ধার বাড়ে। তবে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের বাকি সময়ে বা অতিরিক্ত আধা ঘণ্টায় কোনো দলই আর গোল আদায় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পার্থক্য হয়ে ওঠে টাইব্রেকারে আকাঞ্জির মিস ও পিকফোর্ডের সেভ। যা গত আসরের রানার্সআপ ইংল্যান্ডকে এনে দেয় সেমিফাইনালের টিকিট।