পত্রিকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেট নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ। কারফিউ চলা দেশের খবর জানতে পত্রিকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ঘরবন্দি মানুষের। ২২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী বাজারের শেফালি পত্রিকা বিতানে পত্রিকার জন্য ছুটতে দেখা গেছে লোকজনকে। যে যেখানে পারছেন পত্রিকার পাতায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন অলিগলির চায়ের দোকান এমনকি কিছু এলাকায় রিকশাতেও পত্রিকা হাতে দেখা গেছে মানুষদের।
ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ী শাজাহান খান বলেন, রাতে টিভিরখবর দেখে মনে হয়েছে সবকিছু শান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু পত্রিকার খবরেই জানলাম কারফিউর মধ্যেও সহিংসতা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ৮২ জন। পত্রিকা না পড়লে তো এমন খবর জানতেও পারতাম না।
আরেক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, অনেক দিন পর পত্রিকা কিনে পড়লাম। আসলে এতদিন অনলাইনেই সব খবর পেয়ে যেতাম। এখন অনলাইন বন্ধ থাকায় প্রিন্ট পত্রিকা কিনতে হলো। তবে প্রিন্ট পত্রিকার আবেদন অন্যরকম, এটা স্বীকার করতেই হবে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঈশ্বরদী বাজারে সবজি কিনে বাসায় ফিরছিলেন শেরশাহরোড এলাকার বাসিন্দা সেলিনা রহমান। সবজির ব্যাগের সঙ্গে তাঁর হাতে একটি পত্রিকাও ছিল। তিনি বলেন, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা জানা দরকার। অনলাইন বন্ধ।বাসায় তো ওয়াইফাই দিয়ে টিভি দেখতাম। তাই এখন খবরের জন্য পত্রিকাই ভরসা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী জাংশন স্টেশন ২ নম্বর প্লাটফর্মের নিচে পত্রিকা পড়ছিলেন আবদুল হাকিম নামের এক ব্যক্তি। তাকে ঘিরে ছিলেন ১-২ জন। তিনি বলেন, পত্রিকা না পড়লে তো দেশের অবস্থা জানতেই পারতাম না। গভীর রাত পর্যন্ত টেলিভিশন দেখেছি। কিন্তু এসব খবর আসেনি।
ঈশ্বরদী শেফালি পত্রিকা বিতানের স্বত্বাধিকারী শোহানুর রহমান খান শুভ বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ঈশ্বরদীতে পত্রিকার চাহিদা আগের তুলনায় প্রচুর বেড়েছে। সব পত্রিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল যদি রাত ১২টার পর বন্ধ থাকে, তাহলে পত্রিকার বর্তমান যে চাহিদা, সেটি অব্যাহত থাকবে।