সংসদ সদস্য মো. শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন রাজশাহীর আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। রোববার সকালে রাজশাহী আদালত প্রাঙ্গণে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহীর সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানসহ দলীয় নেতাদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমতা চাইতে বলেছেন রাজশাহীর আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।
রোববার সকালে রাজশাহী আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আইনজীবীরা তাঁকে এ আহ্বান জানান। রাজশাহী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে রাজশাহী আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক বজলে তৌহিদ আল হাসান (বাবলা), রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন, আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম, পূর্ণিমা ভট্টাচার্য, শিরাজী শওকত সালেহীন, আসাদুজ্জামান (মিঠু), এন্তাজুল হক, আব্দুল ওহ্হাব, আবু রায়হান, রাশেদ-উন-নবী আহসান, শামীম আখতার, জিয়াউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্যসচিব মো. শাহজাহানের সঞ্চালনে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের জানাজায় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান মো. লায়েব উদ্দীনকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। শাহরিয়ার আলম এ ধরনের বক্তব্য থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকবেন। তাঁকে এই বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ওই বক্তব্যে শাহরিয়ার আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান বক্তারা।
গত বৃহস্পতিবার আশরাফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ‘মদদদাতা’ হিসেবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। যদিও খায়রুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা শাহরিয়ার আলমকেই ঘটনার জন্য দায়ী করেন। এ নিয়ে রাজশাহীতে খায়রুজ্জামানের অনুসারীরা আন্দোলন করছেন।
দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে ২২ জুন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা চত্বরের ভেতর থেকে আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার বিকেলে তিনি মারা যান।
সংঘর্ষের পরদিন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী আদালতে আরেকটি মামলা করে অন্য পক্ষ। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।