নাটোর জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি গুরুদাসপুর: পরিবার নিয়ে একটি মাটির ঘরে থাকেন কৃষক আবদুল মতিন (৫০)। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ ঘরে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। ভয়-আতঙ্কে প্রতিবেশীদের শরণাপন্ন হন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় গর্ত খোঁড়া শুরু করেন। সেই গর্ত থেকে একে একে বের হয়ে আসে ছোট ও মাঝারি আকারের ৫০টি সাপের বাচ্চা।

এ ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে প্রতিবেশীরা সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলেন। এখন মা সাপকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কৃষক মতিনের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া গ্রামে (নুহুর মোড়)।

আবদুল মতিন বলেন, দিন আনে দিন খায় অবস্থা তাঁর। পরিস্থিতির কারণে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে বসবাস করেন। হঠাৎ ঘরের ভেতর এত সাপের বাচ্চা দেখে ভয় তৈরি হয়েছে। এখন ঘরে ঘুমানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেশী সুমন ও মেহেদী হাসান বলেন, এমনিতে দেশজুড়ে রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার ওপর গ্রামের একটি ঘরে একসঙ্গে ৫০টি সাপের বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনা গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও বন বিভাগের সহায়তা চাইছেন তাঁরা।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিবেশ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, এখন বর্ষাকাল। সাপের উপস্থিতি থাকা স্বাভাবিক। আতঙ্কিত না হয়ে সাপের বাচ্চাগুলো না মেরে প্রশাসন বা তাঁদের খবর দিলে তাঁরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করতে পারতেন। কারণ, সাপ পরিবেশের বন্ধু।