পাবনায় বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কবি মাকিদ হায়দার

ফুল দিয়ে মাকিদ হায়দারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন    

প্রতিনিধি পাবনা: বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের খ্যাতিমান কবি, পাবনার কৃতীসন্তান মাকিদ হায়দারের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর কবরস্থানে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।

আরিফপুরে কবরস্থানে কবিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পাবনার কবি, সাহিত্যিকসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

এর আগে ঢাকা থেকে বুধবার রাত পৌনে ১১টায় কবির মরদেহ পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চ চত্বরে পৌঁছায়। সেখানে পাবনার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধানসহ সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ এতে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। কবি মাকিদ হায়দার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি।

কবি মাকিদ হায়দারের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার আরিফপুরের দোহারপাড়া গ্রামে। তার বাবা হাকিমউদ্দিন শেখ ও মা রহিমা খাতুন। পাবনার গোপালচন্দ্র ইন্সটিটিউট (জিসিআই) থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ঢাকায় চলে যান মাকিদ হায়দার। এরপর সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। মাকিদ হায়দারের অন্যান্য ভাই প্রয়াত জিয়া হায়দার, রশিদ হায়দার, বার্লিন প্রবাসী (নির্বাসিত) কবি দাউদ হায়দার, কবি জাহিদ হায়দার এবং রাবির অধ্যাপক আরিফ হায়দার।

মাকিদ হায়দারের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা (১৯৭৬), আপন আঁধারে একদিন (১৯৮৪), পার্থ ও প্রতিম (২০০৭), কফিনের লোকটি (২০১১), যে আমাকে দুঃখ দিলো (২০১২), প্রিয় রোকানালী (২০১৩), মুমুর সাথে সারা দুপুর (২০১৪)। এছাড়া তার একটি গল্পগ্রন্থ ও একটি প্রবন্ধের বই রয়েছে।