রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লেবার সেমিস্টারে যোগ দিয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্মান দল ১০ জুলাই বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লেবার সেমিস্টারে যোগ দিয়েছে। রসাটম কোর ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত এসকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম।

রোসাটম থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই মাসব্যাপী এই লেবার সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। এ সময় নির্মাণ ও স্থাপন কাজে দক্ষতা অর্জন ছাড়াও ক্যাটালগ তৈরি, ডিজাইন ও ওয়ার্কিং ডকুমেন্টেশন রক্ষণ, সাইটে আগত বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট ও সামগ্রীর পরিদর্শন প্রক্রিয়া এবং আরপিএস (রসাটম প্রোডাকশন সিস্টেম) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।

খুব শীঘ্রই রসাটম প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধানে নির্মীয়মাণ মিশরের এল দাবা এনপিপি এবং ভারতের কুদানকুলাম এনপিপি’তে অনুরুপ লেবার সেমিস্টার শুরু হবে। একটি স্টুডেন্ট কন্সট্রাকশন টিম ইতোমধ্যে রাশিয়ার কুরস্ক এনপিপি-২ এ তাদের লেবার সেমিস্টার শুরু করেছে। চলতি বছর রসাটম প্রকৌশল শাখার চারটি প্রকল্পে ১৫০ জন রুশ শিক্ষার্থী লেবার সেমিস্টারে কাজ করবেন।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার রোস্তভ এনপিপি’র ২ নম্বর ইউনিটে, স্টুডেন্ট কন্সট্রাকশন টিমের জন্য লেবার সেমিস্টারের ব্যবস্থা শুরু করা হয়। ওই বছর ২৫ জন শিক্ষার্থী সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে প্রথমবার রাশিয়ার বাইরে বেলারুশ এনপিপিতে লেবার সেমিস্টার প্রবর্তন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

২০১৪ সালে রসাটম এবং রুশ স্টুডেন্ট টিমগুলোর মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ১৫ বছরের অধিক সময়ে ১৭ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ২৯টি পারমাণবিক নির্মাণ প্রকল্পে লেবার সেমিস্টারে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি রাশিয়ায় অবস্থিত এবং বাকীগুলো তুরস্ক, বেলারুশ, চীন, ভারত ও মিশরসহ অন্যান্য দেশে।

উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগা-ওয়াট। এই রিয়্যাক্টরগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে সক্ষম। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাকটের অধীনে রসাটমের প্রকৌশল শাখা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে।