ছুরিকাঘাত | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কর্তৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাখায়াত হোসেন স্বপন (৪২) নামের এক চা বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়, দলিল লেখক সমিতি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খাঁন বাচ্চুকে বাদ দিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ রনিকে ওই পদে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার কার্যালয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরমধ্যে স্বপনকে রামেক হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে সোমবার বিকেলে ফের হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত স্বপন উপজেলার পশ্চিম টেংরি পিয়ারাখালি এলাকার মৃত শাজাহান খানের ছেলে। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা।
এঘটনায় আহতরা হলেন- দেলোয়ার হেসেন বাচ্চু (৫৫), তাঁর ছেলে বুলবুল আহমেদ খান (২৩), চাচাতো ভাই মো. রতন (৫৫), বাবলু (৩৮), আনোয়ার হেসেন বান্না (৪৩), মঞ্জু (৪১), মুন্না (৪২) ও শরীফ আলী (৩৯)।
২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি কায়সার আহমেদ বাবলু বলেন, দলিল লেখক সমিতির বর্তমান কমিটি গঠনের ২ মাস পর ওইদিন বাচ্চু রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে আসেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতেই প্রাণ গেল এক চা বিক্রেতার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ রনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে জমি নিয়ে বাচ্চুর এলাকায় ঝামেলা হয়েছিল। যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
ঈশ্বরদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার সময় কার্যালয়ে ছিলেন না, হামলা বা সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেনা, লোকমুখে বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বাচ্চুর আর রনির লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। একজন মারা গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।