শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে টহল দিচ্ছে বিজিবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ১১টি আবাসিক হলের অনেক শিক্ষার্থী হঠাৎ হল ছাড়ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের ‘হামলার’ আতঙ্কে তাঁরা হল ত্যাগ করছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘ক্যাডার বাহিনী’ নিয়ে ‘সশস্ত্র’ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হলগুলোতে অভিযান চালাবেন। হলের যাঁরা আছেন, তাঁরা অন্য জায়গায় চলে যান। অন্যথায় হলের সবাই একসঙ্গে জড়ো হয়ে শক্ত অবস্থান নিন। ছাত্রলীগের হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এ ছাড়া সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব পোস্ট দেখে এই প্রতিবেদককে অনেক শিক্ষার্থী ফোন করে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের হামলার আতঙ্কে তাঁরা হল ত্যাগ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা আবার হলে ফিরে আসবেন। মাদার বখ্শ হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর ব্লকের একজন ছাড়া সবাই হল ছেড়েছেন। তিনি এখন বন্ধুর মেসে চলে যাচ্ছেন।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু হলকে টার্গেট করে জামায়াত-শিবিররা হামলা চালিয়েছে। এতে তাঁদের ৪০টি বাইক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সার্টিফিকেটসহ কক্ষগুলোতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রেখে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এর জবাব তাঁরা রাজপথেই দেবেন। যেখানেই জামায়াত-শিবির দেখবেন, সেখানেই তাদের প্রতিহত করা হবে।’

আবাসিক হলের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, এ খবরটি ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা একটু পরপর ক্যাম্পাস টহল দেবে।