ঈশ্বরদীতে বাল্যবিবাহ রোধে কঠোর হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন

বক্তব্য দেন এমদাদুল হক রানা সরদার  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এটি হয়। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার।

এসময় এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে তিনটি কাজ করতে হবে। সেগুলো হলো: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালী করা, সমাজের মানুষকে সচেতন করা ও বাল্যবিবাহের শিকার নারীদের যুক্ত করা। আইনের বাস্তবায়ন ও পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরেও গোপনে বিয়ে দেওয়া কিংবা প্রেমের বিয়ের মত ঘটনা এখনো ঘটছে। আইনের আরো যথার্থ প্রয়োগও অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ঈশ্বরদী বাল্যবিবাহ বন্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের আচরণের পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিন্টু, এমলাক হোসেন বাবু বিশ্বাস, আব্দুল খালেক মালিথা, আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন ও সাহাপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রমুখ।

বক্তব্য দেন সুবীর কুমার দাশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, নিবন্ধন ছাড়াই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা দেখতে পাই। থানা-পুলিশের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরব ভূমিকা রয়েছে, আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে তথ্য পাওয়ামাত্র আমরা দ্রুত সাড়া প্রদানে সচেষ্ট থাকি।

তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কোন বিয়ে সাময়িকভাবে ঠেকাতে পারলেও পরবর্তীতে কোন না কোনভাবে সেই বিয়ে হয়ে যায়। গোপনে নানাভাবে বাল্যবিবাহের ঘটনা এখনও ঘটছে। এটা একটি চ্যালেঞ্জ। বাল্যবিয়ে হওয়ার ২ বছর পর্যন্ত মামলা করার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।