রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্রাঙ্গণে আজ রোববার সকালে আটটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা দেখা যায়। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা লাঠি দিয়ে বাচ্চাগুলো মেরে ফেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই জায়গায় আরও সাপের বাচ্চা থাকতে পারে।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছয়টি বাচ্চার কথা শুনেছিলাম আরও দুটি হয়তো পাশ থেকে বের হতে পারে। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি একেবারে পদ্মা নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত। একাডেমির আঙিনার পাশেই পদ্মা নদীর চর। সেখান থেকেই বাচ্চাগুলো বের হয়েছিল। ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা ওগুলো মেরেছেন। মাসখানেক আগেও একাডেমির অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে একটি বড় রাসেলস ভাইপার সাপ মেরেছেন পুলিশ সদস্যরা।’

এ ঘটনার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে এক থেকে দেড় ফুট লম্বা আটটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। রাজশাহী বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির ও চট্টগ্রাম ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস ছবি দেখে নিশ্চিত করেছেন যে এগুলো রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা।

 বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি চত্বরে আটটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা মারা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বোরহান বিশ্বাস জানিয়েছেন, একাডেমি প্রাঙ্গণে এ রকম আরও বাচ্চা থাকার কথা। এই সাপ অত্যন্ত অলস প্রকৃতির। যেখানে দেখা যায়, সেখানেই অন্তত দু–তিন ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। এমনকি দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত থাকতে দেখা যায়। তাই এদের দেখা পেলে না মেরে বন বিভাগে খবর দেওয়া উচিত। তাদের দ্রুত উদ্ধার দল রয়েছে। তারা গিয়ে সাপ উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করতে পারে। আর ২০১২ সালের বন্য প্রাণী আইন দ্বারা রাসেলস ভাইপার সংরক্ষিত প্রাণী। আইন অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার সাপ মারা, ধরা ও বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।